আকাঙ্খা শর্মা খুনে উদয়ন দাসকে দোষী সাব‍্যস্ত করলো বাঁকুড়া আদালত

26th August 2020 2:33 pm বাঁকুড়া
আকাঙ্খা শর্মা খুনে উদয়ন দাসকে দোষী সাব‍্যস্ত করলো বাঁকুড়া আদালত


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  আকাঙ্খা শর্মা খুনের ঘটনায় অবশেষে আকাঙ্খার প্রেমিক উদয়ন দাসকে দোষী সাব্যস্ত করল বাঁকুড়া ফাস্ট ট্র‍্যাক কোর্ট। ২০১৭ সালে আকাঙ্খা শর্মা খুনের ঘটনায় রীতিমত তোলপাড় হয়।  জানা গেছে ২০১৬ সালের ২৩ জুন দিল্লী হয়ে আমেরিকায় চাকরী করতে যাওয়ার নাম করে আকাঙ্খা শর্মা বাঁকুড়ার ভাড়া বাড়ি থেকে বের হন। প্রথম প্রথম পরিবারের সাথে যোগাযোগ থাকলেও ধীরে ধীরে আকাঙ্খার সাথে যোগাযোগ ছিন্ন হয় পরিবারের। ২০১৭ সালের ১ ফেব্রুয়ারি আকাঙ্খার বাবা একটি রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কের বাঁকুড়া শাখার ম্যানেজার শিবেন্দ্র নারায়ন শর্মা বাঁকুড়া সদর থানায় দ্বারস্থ হয়ে আকাঙ্খাকে অপহরনের অভিযোগ দায়ের করেন। ওই দিনই ভোপালের উদ্যেশ্যে রওনা দেয় বাঁকুড়া সদর থানার তদন্তকারী দল।  ২ ফেব্রুয়ারি ওই তদন্তকারী দল ভোপালের সাকেতনগরে আকাঙ্খার প্রেমিক উদয়ন দাসের বাড়িতে হানা দিয়ে উদয়নকে গ্রেফতার করে।  উদয়নের বাড়ির মেঝেতে থাকা সিমেন্টের বেদী খুঁড়ে উদ্ধার হয় আকাঙ্খার দেহ। পরে উদয়নকে নিয়ে ছত্রিশগড়ের রাইপুরে যায় তদন্তকারীরা।  রাইপুরে উদয়ন দাসের বাড়ির উঠান খুঁড়ে উদ্ধার হয় উদয়ন দাসের বাবা ও মা এর মৃতদেহ।  এরপর পুলিশ উদয়ন দাসকে বাঁকুড়ায় নিয়ে আসে।  তার বিরুদ্ধে বাঁকুড়া ফাস্ট ট্র‍্যাক কোর্টে অপহরণ,  খুন ও প্রমান লোপাটের চার্জ আনা হয়। এরপর থেকে মোট ১৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করে আদালত।  শেষ পর্যন্ত আজ বাঁকুড়া ফাস্ট ট্র‍্যাক কোর্ট উদয়ন দাসকে দোষী সাব্যস্ত করে।  আজ উদয়ন দাসের সাজা ঘোষনা করেন ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টের বিচারপতি ।  যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয় ও কুড়ি হাজার টাকা ফাইন করা হয় ।

আকাঙ্ক্ষা তার বাবার বক্তব্য এখন যেটা হয়েছে আদালতের রায় সেটাতে খুশি । পরে ভাবা যাবে আর কি করা যায় । 





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।